Skip to main content

ব্রেকিং নিউজ : বাতিল হয়ে গেল ৭ ধরণের জমির দলিল


 জাহাঙ্গীর আলম সরকার : বাংলাদেশে দ্রুতই ‘ভূমি ব্যবহার স্বত্ব আইন’ এবং ‘ভূমি অপরাধ, প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ প্রণীত হতে যাচ্ছে। নতুন এই আইনে যে ৭ ধরনের দলিল বাতিল হতে যাচ্ছে সেগুলোই আজকের মূল আলোচ্য বিষয়। প্রথমত, রেজিস্ট্রিবিহীন দলিল নিয়ে সামান্য আলোচনা করি।


সাধারণত যে দলিলে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসারের কোনো বৈধ সিল ও স্বাক্ষর থাকে না, সরকার কোনো রেজিস্ট্রি ফি পায় না, এসব দলিল নতুন আইন অনুসারে বাতিল হতে যাচ্ছে। বিষয়টির আলোচনার প্রারম্ভে আমাদের দলিল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি সম্পর্কে ভাল ধারণা অর্জন করতে হবে।


বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে দলিল অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যেমন- বিক্রয় দলিল অবশ্যই রেজিস্ট্রি করতে হবে। জমি ক্রয় করার আগে বায়না দলিল করলে ৩০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের জন্য জমা দিতে হবে। রেজিস্ট্রি ছাড়া বায়না দলিলের আইনগত মূল্য নেই। বায়না দলিল রেজিস্ট্রির তারিখ থেকে এক বছরের মধ্যে বিক্রয় দলিল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দাখিল করতে হবে। হেবা বা দানকৃত সম্পত্তির দলিলও রেজিস্ট্রি করতে হবে। বন্ধককৃত জমির দলিল রেজিস্ট্রি করতে হবে। কোনো ভূমি সম্পত্তি মালিকের মৃত্যু হলে তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি বাটোয়ারা করা এবং ওই বাটোয়ারা বা আপোস বণ্টননামা রেজিস্ট্রি করতে হবে।


বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুসারে জমি রেজিস্ট্রেশন করতে যা যা লাগে সেগুলোর অন্যতম হলো- বিক্রীত জমির পূর্ণ বিবরণ, দলিলে দাতা-গ্রহীতার পিতা-মাতার নাম, পূর্ণ ঠিকানা এবং সাম্প্রতিককালের পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি। যিনি জমি বিক্রয় করবেন, তার নামে অবশ্যই উত্তরাধিকার ছাড়া নামজারি থাকতে হবে। দলিলে বিগত ২৫ বছরের মালিকানা সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও কার কাছ থেকে কে ক্রয় করল, সে বিবরণ লেখা থাকতে হবে। সম্পত্তির প্রকৃত মূল্য, সম্পত্তির চারদিকের সীমানা, নকশা দলিলে থাকতে হবে। যিনি ক্রয় করেছেন তিনি ছাড়া অন্য কারও কাছে এই জমি বিক্রি করা হয়নি মর্মে হলফনামা থাকতে হবে। জমির পর্চাগুলোতে সিএস, এসএ, আরএস মালিকানার ধারাবাহিকতা (কার পরে কে মালিক ছিল) থাকতে হবে এবং প্রয়োজন হলে ভায়া দলিল সংযুক্ত করতে হবে।


বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন অনুসারে রেজিস্ট্রি আইন ও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি নিয়ে একটু আলোচনা করা প্রয়োজন। সাধারণত দলিল রেজিস্ট্রি করা হয় রেজিস্ট্রেশন আইন, স্ট্যাম্প আইন, আয়কর আইন, অর্থ আইন ও রাজস্ব সংক্রান্ত বিধি এবং পরিপত্রের আলোকে। সব দলিলের রেজিস্ট্রি ফি সমান নয়। সরকার বিভিন্ন সময় সমসাময়িক বিবেচনা অনুযায়ী রেজিস্ট্রি ফি নির্ধারণ করে থাকে। কর দেওয়ারও সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। ভ্যাট ও উৎসে কর সব সময়ই জমির বিক্রেতা প্রদান করবে। আয়কর আইন অনুসারে, এই দুই ধরনের করের পরিমাণ বিক্রেতার আয়ের ওপর নির্ভর করবে। এই কর বিক্রেতার নামে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। উৎসে কর ও ভ্যাট ছাড়া অন্য সব ধরনের কর জমির ক্রেতাকেই পরিশোধ করতে হবে।


সে যাই হোক, নতুন ভূমি আইন প্রণীত হলে রেজিস্ট্রিবিহীন দলিল বাতিল হয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে জাল খতিয়ান ও দলিল সৃষ্টি করলে সেটিও বাতিল বলে পরিগণিত হবে। অনেক সময় আমরা দেখতে পাই যে, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, ভূমি অফিসের গচ্ছিত দলিলগুলো আগুনে পুড়ে গেছে। তখন কিছু সুযোগ সন্ধানী লোক ভূমি অফিসের অসাধু ব্যক্তির সঙ্গে মিলে জাল খতিয়ান ও দলিল সৃষ্টি করে অন্যের সম্পদ দখল ও ভোগ করে। সে সংক্রান্ত দলিল কার্যকর হবে না। কেউ যদি অন্যের জমির মালিক হওয়ার উদ্দেশ্যে জাল দলিল তৈরি করে, সেক্ষেত্রে সেই জাল দলিল বাতিল হয়ে যাবে। খাস জমি বেআইনি ভাবে দখল করে নিলে যেমনÑ চর, নদির উপকূলের জমির দলিল করে অনেকেই ভোগ করছেন। এখন থেকে এসব খাস জমির জাল দলিল বাতিল হয়ে যাবে। আপনি কারও কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছেন, কিন্তু তার যতটুকু অংশ সে পায়, তার ওয়ারিশান সূত্রে তার অধিক লিখে নিয়েছেনÑ এ ধরনের জমির দলিল কার্যকর হবে না ।


ভূমি আইন (খসড়া) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। কারণ, প্রায় প্রত্যেক মানুষই ভূমির সঙ্গে সম্পৃক্ত। জমির দলিল জাল করলে দ-বিধি আইন, ১৮৬০তেও শাস্তির বিধান রয়েছে। প্রস্তাবিত ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার’ আইনে নতুন করে শাস্তির বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। খসড়া আইনেও কারাদ-ের বিধান রাখা হয়েছে। ভূমির জালিয়াতি, অবৈধ দখল, প্রতারণা ও অপরাধ দমন, পেশিশক্তি বা অস্ত্রের ব্যবহার রোধে নতুন ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ শীর্ষক খসড়া আইন করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে জমিসংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধে যে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে, তার পাশাপাশি খসড়া আইনেও শাস্তির বিধান সংযোজন করা হয়েছে। খসড়া আইনে যেসব বিষয়ে দেওয়ানি আদালতের এখতিয়ার, সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতকে আনা হয়েছে।


আমাদের মনে রাখতে হবে যে, কয়েক প্রকারের দলিল রয়েছে, যেগুলো সম্পত্তি হস্তান্তরের দলিল নয়। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে- বায়নাপত্র দলিল, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (আমমোক্তারনামা) দলিল, উইল দলিল, ওছিয়ত দলিল, চুক্তিপত্র দলিল, রেজিস্ট্রি অফিসে বাতিলকরণ দলিল- রোজিস্ট্রির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দলিলের পক্ষগণ সকলের সম্মতিতে একত্রে দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে বাতিল করতে পারেন। সম্পত্তি হস্তান্তরের বিভিন্ন দলিল যেমন- সাব-কবলা, দানপত্র, হেবার ঘোষণাপত্র, হেবাবিল এওয়াজ ইত্যাদি দলিল রেজিস্ট্রি অফিসে ‘বাতিলকরণ দলিল’ রেজিস্ট্রি করে বাতিল করা যায় না। আইনগত ও যৌক্তিক কারণে দলিল বাতিলের প্রয়োজন হলে আদালতে মামলা দায়ের করে বাতিলের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হয়।

আইনটি প্রণীত হলে নতুন আইন অনুসারে ওয়ারিশদের বঞ্চিত করা দলিলগুলো বাতিল বলে পরিগণিত হতে যাচ্ছে। ওয়ারিশদের বঞ্চিত করে সম্পত্তি বিক্রি করার পর সেই জমি কেউ ক্রয় করলে সেই ক্রয়কৃত জমির দলিল কার্যকর হবে না। বাদ যাবে না প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত দলিলগুলো। ভুল বুঝিয়ে, প্রতারণা করে হেবা দলিল করে নিলে দলিল কার্যকর হবে না। নতুন আইন অনুসারে দলিল বাতিল হওয়ার পাশাপাশি বাতিল দলিলের মালিককে ফৌজদারি অপরাধ সংঘটনের জন্য আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শাস্তির মধ্যে রয়েছে ৩ মাস থেকে শুরু করে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদ- এবং ১০ হাজার থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড।

লেখক : আইনজীবী ও পিএইচডি গবেষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

Popular posts from this blog

পা'য়খা'নার রাস্তার লো'ম কা'টা জায়েজ কিনা: ইসলাম যা বলছে

 নিজস্ব প্রতিবেদন: ইসলামে শরীর ও আত্মার পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শরীরের পরিচ্ছন্নতা ইসলামী জীবনাচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। নবী মুহাম্মদ (সা.) স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন, বগলের নিচ, নাভির নিচ এবং গোপনাঙ্গের আশপাশের পশম নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিষ্কার করা উচিত।পায়খানার রাস্তার লোম (যেগুলো নাভীর নিচে এবং গোপনাঙ্গের আশেপাশে) কাটা বা পরিষ্কার করা জায়েজ আছে। সহিহ মুসলিম, সুনানে নাসাঈ ও মুসনাদে আহমদ-সহ একাধিক হাদিস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে, হযরত আনাস (রা.)-এর ভাষ্যে রাসূলুল্লাহ (সা.) এসব পশম ও নখ চল্লিশ দিনের মধ্যে পরিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর বেশি সময় অবহেলা করা শরীয়তের দৃষ্টিতে গুনাহের শামিল হতে পারে। শরীয়তে নির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি বাধ্যতামূলক নয়। ব্লেড, কাঁচি, হেয়ার রিমুভাল ক্রিম বা যে কোনো স্বাস্থ্যসম্মত এবং নিরাপদ উপায় ব্যবহার করা বৈধ। মূল লক্ষ্য হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। তবে ৪০ দিনের বেশি সময় এসব পরিষ্কার না করলে তা অবহেলার পর্যায়ে পড়ে এবং তা গুনাহ হতে পারে। তবে শুধু এই কারণে সালাত বাতিল হবে বা অগ্রহণযোগ্য হবে—এমন কোনো বক্তব্য সহিহ হাদিসে পাওয়া যায় না। নাম...

স'হ'বাস শেষে বী'র্য বাহিরে ফেললে কি গুনাহ হবে, ইসলাম যা বলছে

 নিজস্ব প্রতিবেদন: সহবাসের সময় বীর্য স্ত্রীর গর্ভে না রেখে বাইরে ফেলার একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতির নাম ফিকহের ভাষায় "আজল"। এটি একটি পরিচিত প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, যার ব্যাপারে ইসলাম সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। হাদিস অনুযায়ী, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময় সাহাবিরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করতেন, এবং তিনি তা নিষেধ করেননি। ফলে ইসলামি শরিয়তের আলোকে বলা যায়, স্ত্রীর সম্মতি থাকলে এবং বৈধ প্রয়োজনে আজল ব্যবহার করা জায়েয। তবে ইসলামে সন্তান না নেওয়ার পেছনে উদ্দেশ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি শুধুমাত্র দারিদ্র্য, জীবিকা অনিশ্চয়তা কিংবা সন্তান পালনের ভয় থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে তা শরিয়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, “তোমাদের ও তোমাদের সন্তানদের রিজিকের দায়িত্ব আমি (আল্লাহ) নিয়েছি।” তবে স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বা চিকিৎসাবিজ্ঞানের মত অনুযায়ী গর্ভধারণ ঝুঁকিপূর্ণ হলে, সাময়িক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ বৈধ। এই ক্ষেত্রে আজল, কন্ডমসহ স্বাস্থ্যসম্মত ও শরিয়তসম্মত উপায় অবলম্বন করা যায়। স্থায়ীভাবে সন্তান না নেওয়ার জন্য যেমন বন্ধ্যাক...

ফোনে এই অ্যাপ থাকলেই সর্ব’নাশ! গ্যালারির ছবি যাচ্ছে হ্যা’কারদের হাতে

  আপনার ফোনে এমন একটি অ্যাপ লুকিয়ে থাকতে পারে, যা আপনার অজান্তেই গ্যালারির ছবি থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করছে। নতুন এক ভয়ংকর ম্যালওয়ার ‘স্পার্ককিট্টি’। এই ছদ্মবেশী অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয় প্ল্যাটফর্মেই সক্রিয়। দেখতে সাধারণ ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাপ মনে হলেও, একবার ফোনে ডাউনলোড করলেই বিপদ! ফোনের ফটো গ্যালারিতে থাকা ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিওসহ নানা তথ্য চুপিচুপিই হাতিয়ে নিচ্ছে এই অ্যাপ। কীভাবে কাজ করে এই ম্যালওয়ার? ‘স্পার্ককিট্টি’ অ্যাপটি একধরনের ছদ্মবেশী স্পাইওয়্যার, যা মূলত ব্যাকগ্রাউন্ডে ফোনের ক্যামেরা, গ্যালারি, লোকেশন ও মাইক্রোফোনে প্রবেশাধিকার নিয়ে নেয়। ব্যবহারকারীর অজান্তেই এটি রিমোট সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ছবি বা তথ্য পাঠিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাপটি যেহেতু ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাপের রূপে প্লে স্টোর বা বিভিন্ন উৎসে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাই অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না কখন তাদের ফোনে প্রবেশ করেছে এই ভাইরাস। কীভাবে বুঝবেন ফোনে নজরদারি চলছে? আপনার ফোনে যদি হঠাৎ করে নিচের যেকোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে— অস্বাভাবিকভাবে ব্যাটারির চার্জ কমে যাওয়া ওয়াই...

স্বর্ণ, টাকা বা জমির পরিবর্তে আগামী ১০ বছরে সবচেয়ে মূল্যবান হবে যে জিনিস

  বর্তমান জীবনে কোন জিনিসটি সবচেয়ে মূল্যবান? আপনি হয়ত বলবেন টাকা পয়সা অথবা কেউ বলতে পারেন, সোনা-রূপা অথবা প্রচুর জমি জায়গা পেলেই হয়ত জীবন স্বার্থক। ভারতের জেরোধার সহ-প্রতিষ্ঠাতা নিখিল কামাত কিন্তু অন্য কথা বললেন । আর তাঁর এই কথাই তোলপাড় ফেলে দিয়েছে বিশ্বে। নিখিল কামাত সম্প্রতি এমন কিছু বলেছেন যা ইঙ্গিত দেয় যে আগামী দিনে নগদ অর্থ, সোনা, রূপা, মূল্যবান গয়না বা জমি-জায়গার মতো জিনিস আর মূল্যবান থাকবে না। তিনি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে আগামী ১০ বছরে ইলেকট্রন এবং শক্তি আমাদের মুদ্রায় পরিণত হতে পারে। কামাতের এই চিন্তাভাবনা কেবল একটি কল্পনাই নয়, বরং দ্রুত বর্ধনশীল ডেটা সেন্টার এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বা AI এর ব্যবহারের প্রবণতা ও তার ফলে অবিশ্বাস্য মাত্রার উত্তরোত্তর বর্ধনশীল বিদ্যুৎ খরচের উপর ভিত্তি করে করা গবেষণা থেকে পাওয়া চমকপ্রদ তথ্য। ডেটা সেন্টার হল আপনার প্রতিটি অনলাইন কার্যকলাপ - তা সে নেটফ্লিক্স দেখা হোক বা ক্লাউডে কোনও ফাইল সংরক্ষণ করা হোক - প্রক্রিয়াজাত করার ব্যবস্থা বা পদ্ধতি। কিন্তু শুনলে চমকে যাবেন যে প্রতিটি নতুন ডেটা সেন্টার বছরে ৪ লক্ষ বৈদ্যুতিক গাড়ির মিলিত বিদ...

ইসলামী ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা জমা রাখলে মাসিক মুনাফা কত? সর্বশেষ আপডেট

  ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-তে যারা ক্যাশ টাকা জমা রেখে নিরাপদ ও শরিয়াহভিত্তিক মুনাফা লাভ করতে আগ্রহী, তাদের জন্য ব্যাংকটি নতুন মুনাফার হার প্রকাশ করেছে। ব্যাংকের হালনাগাদ এই মুনাফার হার বিভিন্ন মেয়াদে ডিপোজিট করা গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য হবে। মেয়াদী মুদারাবা টার্ম ডিপোজিট (এফডিআর) স্কিম: এটি সাধারণত তিন মাস, ছয় মাস, এক বছর, দুই বছর ও সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য ডিপোজিট করা যায়। ২০২৫ সালের আপডেট অনুযায়ী— ১ মাস মেয়াদে: মুনাফার হার ৬% ১ লক্ষ টাকা জমা রাখলে প্রতি মাসে মুনাফা ৫০০ টাকা টিআইএন না থাকলে উৎসে কর ১৫% কাটা হবে (৭৫ টাকা), ফলে নিট মুনাফা: ৪২৫ টাকা ৩ মাস মেয়াদে: আনুমানিক মোট মুনাফা: ২,১২৫ টাকা ৬ মাস মেয়াদে: আনুমানিক মোট মুনাফা: ৪,৩৭৮ টাকা ১ বছর মেয়াদে: আনুমানিক মোট মুনাফা: ৮,৯২৫ টাকা দ্রষ্টব্য: মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে এফডিআর ভাঙলে কোনো মুনাফা প্রদান করা হবে না। মুদারাবা মান্থলি প্রফিট ডিপোজিট স্কিম (MMDS): এটি একটি মাসিক ভিত্তিতে মুনাফা বিতরণের স্কিম, যার মেয়াদ সর্বনিম্ন ৩ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫ বছর। ৩ বছর মেয়াদে: মুনাফার হার: ১১% ১ লক্ষ টাকা জমা রাখ...

আ.লীগের জনপ্রিয় ক্রিকেটার এমপি আটক

 মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে গ্রেফতার করেছে মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় দুর্জয় লালমাটিয়ার একটি বাসায় অবস্থান করছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-১ (শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর) আসন থেকে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন দুর্জয়। একই আসন থেকে পরের সংসদেও প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর প্রথম টেস্ট দলের অধিনায়কও ছিলেন তিনি। এছাড়া বিসিবির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বেও দেখা গেছে তাকে। /এমএইচআর

ক্যা'ন্সার হওয়ার এক বছর আগেই শরীর যে সংকেত দেয়

 নিজস্ব প্রতিবেদন: বুক জ্বালা বা হেয়ার্টবার্নকে আমরা প্রায়ই সাধারণ হজমের সমস্যা মনে করি। তবে চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন—এই উপসর্গকে অবহেলা করা বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে চলা বুক জ্বালা হতে পারে একটি মারাত্মক ও দুর্লভ ক্যানসারের পূর্বাভাস, যার নাম ইসোফ্যাজিয়াল ক্যানসার। এই ক্যানসার শরীরে বাসা বাঁধার এক বছর আগেই কিছু পূর্ব লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যা শরীরের আচরণ বা পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। কিন্তু আমরা অনেকেই এসব সংকেতকে গুরুত্ব দিই না। যে লক্ষণগুলো আগেভাগেই দেখা দেয়: * শরীরের যেকোনো জায়গায় চাকা বা গাঁট অনুভব হওয়া * অস্বাভাবিক রক্তপাত * দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা গলা ভাঙা * ওজন হঠাৎ কমে যাওয়া * অতিরিক্ত ক্লান্তি * ত্বকে অস্বাভাবিক পরিবর্তন * হজমে সমস্যা বা বুক জ্বালা উপরের লক্ষণগুলোর কোনোটি যদি দীর্ঘ সময় থাকে, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ইসোফ্যাজিয়াল ক্যানসার কী? এটি খাদ্যনালীর দেয়ালের কোষে তৈরি হওয়া এক ধরনের ক্যানসার। এটি বিশ্বজুড়ে দশম সর্বাধিক দেখা ক্যানসার হলেও এর প্রাথমিক লক্ষণ অনেক সময় অস্পষ্ট থাকে, ফলে রোগ ধরা পড়ে দেরিতে এবং চিকিৎসাও জটিল হয়ে ওঠে। এই ক্যানস...