নিজস্ব প্রতিবেদক: লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) সভাপতি এবং সাবেক সেনাকর্মকর্তা কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ দাবি করেছেন, তাকে একাধিকবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৫ সালে বিএনপি সরকারবিরোধী কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা নিয়ে যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়, তখন তিনি ছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী। সেই সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। অলি আহমদের ভাষায়, শেখ হাসিনা তার চাচা হাফিজ এবং আওয়ামী লীগ নেতা আ. খ. ম জাহাঙ্গীর কবীরকে তার বাসায় পাঠিয়েছিলেন। তারা জানান, সংসদে একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সরিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের ১৪৩ জন ও বিএনপির ৪০ জন এমপির সমর্থনে তাকে প্রধানমন্ত্রী করা হবে। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিন দিন ধরে আলোচনা চলে। প্রথমে তিনি সম্মত হলেও, শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত পাল্টান। তিনি জানান, "আমি ভেবেছিলাম, বেগম জিয়া আমাকে মন্ত্রী করেছেন, তার সঙ্গে বেঈমানি করা উচিত হবে না। আমি জায়নামাজে বসে আল্লাহর কাছে দোয়া করি এবং এরপর শেখ হাসিনাকে জানাই, আম...
নিজস্ব প্রতিবেদন: সহবাসের সময় বীর্য স্ত্রীর গর্ভে না রেখে বাইরে ফেলার একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতির নাম ফিকহের ভাষায় "আজল"। এটি একটি পরিচিত প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, যার ব্যাপারে ইসলাম সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। হাদিস অনুযায়ী, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময় সাহাবিরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করতেন, এবং তিনি তা নিষেধ করেননি। ফলে ইসলামি শরিয়তের আলোকে বলা যায়, স্ত্রীর সম্মতি থাকলে এবং বৈধ প্রয়োজনে আজল ব্যবহার করা জায়েয। তবে ইসলামে সন্তান না নেওয়ার পেছনে উদ্দেশ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি শুধুমাত্র দারিদ্র্য, জীবিকা অনিশ্চয়তা কিংবা সন্তান পালনের ভয় থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে তা শরিয়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, “তোমাদের ও তোমাদের সন্তানদের রিজিকের দায়িত্ব আমি (আল্লাহ) নিয়েছি।” তবে স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বা চিকিৎসাবিজ্ঞানের মত অনুযায়ী গর্ভধারণ ঝুঁকিপূর্ণ হলে, সাময়িক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ বৈধ। এই ক্ষেত্রে আজল, কন্ডমসহ স্বাস্থ্যসম্মত ও শরিয়তসম্মত উপায় অবলম্বন করা যায়। স্থায়ীভাবে সন্তান না নেওয়ার জন্য যেমন বন্ধ্যাক...