ব্রেন স্ট্রোক কি?
মানুষের মস্তিষ্ক একটি জটিল অঙ্গ যা ক্রমাগত রক্ত সরবরাহের উপর নির্ভর করে। রক্তপ্রবাহে ব্যাঘাত ঘটলে মস্তিষ্কের অত্যাবশ্যক অক্সিজেন এবং গ্লুকোজ কেটে যায় এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে মস্তিষ্কের মৃত্যু ঘটতে পারে।
স্ট্রোক (ব্রেন স্ট্রোক বা সেরিব্রোভাসকুলার অ্যাকসিডেন্ট নামেও পরিচিত) একটি মেডিকেল অবস্থা যেখানে মস্তিষ্কের একটি অংশে রক্ত সরবরাহ কমে যায় বা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়।
এটি একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি যেখানে মস্তিষ্কের কোষগুলি রক্ত সরবরাহের সীমাবদ্ধতার কারণে পুষ্টি এবং অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে মারা যেতে শুরু করে। মস্তিষ্কের কোষগুলির (নিউরন) পুনর্জন্মের অক্ষমতা স্থায়ী ক্ষতি এবং অপরিবর্তনীয় পরিণতি ঘটায়।
ব্রেইন স্ট্রোক একই মুহূর্তে সম্পূর্ণভাবে জীবন বদলে দিতে পারে৷ তবে একটি আশার কথা হলো, ব্রেইন স্ট্রোক হওয়ার আগেই সংকেত দিতে থাকে৷
সময় থাকতে সতর্ক না হলে বড়সড় বিপত্তি হতে পারে৷ ব্রেইন স্ট্রোকের আগে ঠিক কী কী সংকেত দিতে পারে, জেনে নেওয়া যাক—
অনেক সময়েই লক্ষ করা যায়, স্ট্রোকের আগে হাত, পায়ে হঠাৎ করেই দুর্বলতা হতে পারে। হাঁটাচলা করার সময়ে এই দুর্বলতা লক্ষ করা যায়। তবে এড়িয়ে গেলেই সমস্যা।
কথাবার্তার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে ৷ ঠিক করে কথা বলার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে থাকে, কথা জড়িয়ে যায় বা আটকেও যায়। ব্রেইনে রক্ত সংবহন করার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা এড়িয়ে গেলে প্রচণ্ড চাপ বাড়তে পারে।
হঠাৎ কোনো কারণেই মাথা যন্ত্রণা হলে যেন বারবার মনে হয়ে থাকে সংজ্ঞা বা জ্ঞান হারিয়ে যেতে পারে।
এটিও ব্রেইন স্ট্রোকের ইঙ্গিত হতে পারে। তবে এর সঙ্গে অন্য লক্ষণও দেখা দিতে পারে। স্ট্রোকের প্রভাব চোখের ওপরেও পড়ে থাকে। এতে দুই চোখেই ঘোলাটে ভাব লক্ষ করা যায়। অন্ধকার অন্ধকার ভাব চোখকে ঘিরে ধরে। ঘোলাটে ভাব লক্ষ করা যায়।
ব্রেইন স্ট্রোকের আগে প্রতিটি মুহূর্তই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরমধ্যেই বেশ কিছু লক্ষণ দেখতে পাওয়া গেলে খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। স্ট্রোকের শুরুতে ৩ থেকে ৪.৫ ঘণ্টা অত্যন্ত গোল্ডেন মুহূর্ত বা সোনালি মুহূর্ত বলেই মনে করা হয়।
এ সময় কিছুক্ষেত্রে পরিষ্কার সংকেত দেখা দেয়। সময় থাকতে থাকতে এই সংকেত বুঝতে হবে।
সূত্র : নিউজ ১৮