নিজস্ব প্রতিবেদক: অনেক সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, যখন কোনো ঘরে কুরআনের কপি খোলা অবস্থায় থাকে—ধরা যাক কেউ তিলাওয়াত করছিলেন বা পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়েছেন। এমন অবস্থায় ওই ঘরে স্বামী-স্ত্রীর বৈধ দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপন করা কতটা শরিয়তসম্মত? ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী, কুরআনুল কারীম সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ ও পবিত্র কিতাব। এর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান বজায় রাখা প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব। তাই এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত, যা কুরআনের আদব ও মর্যাদার পরিপন্থী হতে পারে। ইসলামি ফিকহবিদরা মত দেন, যদি কোনো ঘরে কুরআনের খোলা কপি থাকে, তাহলে স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পূর্বে সেটিকে ঢেকে রাখা বা বন্ধ করে রাখা উত্তম। এটি কুরআনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি উপায় এবং সম্ভাব্য অসম্মান এড়ানো সম্ভব হয়। তবে কেউ যদি না জেনে বা ভুলক্রমে এমন অবস্থায় সহবাস করে থাকেন, তাহলে সেটি গুনাহ হিসেবে বিবেচিত হবে না। কিন্তু ধর্মীয় শালীনতা ও আদব বজায় রাখার জন্য এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে চলাই সর্বোত্তম। উল্লেখযোগ্যভাবে, এ বিষয়ে সরাসরি কোনো হাদিসে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে ইসলামের সামগ্রিক নৈতিকতা ও শিষ্টাচারের আলোকে কুরআন...
নিজস্ব প্রতিবেদন: সহবাসের সময় বীর্য স্ত্রীর গর্ভে না রেখে বাইরে ফেলার একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতির নাম ফিকহের ভাষায় "আজল"। এটি একটি পরিচিত প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, যার ব্যাপারে ইসলাম সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। হাদিস অনুযায়ী, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময় সাহাবিরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করতেন, এবং তিনি তা নিষেধ করেননি। ফলে ইসলামি শরিয়তের আলোকে বলা যায়, স্ত্রীর সম্মতি থাকলে এবং বৈধ প্রয়োজনে আজল ব্যবহার করা জায়েয। তবে ইসলামে সন্তান না নেওয়ার পেছনে উদ্দেশ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি শুধুমাত্র দারিদ্র্য, জীবিকা অনিশ্চয়তা কিংবা সন্তান পালনের ভয় থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে তা শরিয়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, “তোমাদের ও তোমাদের সন্তানদের রিজিকের দায়িত্ব আমি (আল্লাহ) নিয়েছি।” তবে স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বা চিকিৎসাবিজ্ঞানের মত অনুযায়ী গর্ভধারণ ঝুঁকিপূর্ণ হলে, সাময়িক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ বৈধ। এই ক্ষেত্রে আজল, কন্ডমসহ স্বাস্থ্যসম্মত ও শরিয়তসম্মত উপায় অবলম্বন করা যায়। স্থায়ীভাবে সন্তান না নেওয়ার জন্য যেমন বন্ধ্যাক...